আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন যে,
যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা এক সময় তাদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা
সেনাপ্রধান জানান, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেনারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় তিনি সব বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী একটি পেশাদার বাহিনী, তাই মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার ওপর জোর
সেনাপ্রধান বলেন, এক সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবেন না। এছাড়া, আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত চলছে। নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “একজন সেনা কর্মকর্তাকে তৈরি করতে রাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। তাই অপরাধে জড়ানোর আগেই কর্মকর্তাদের সঠিক পথে রাখতে হবে। অপরাধের পর কাউকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া রাষ্ট্রের অর্থের অপচয়।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দেশের ভবিষ্যৎ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া তথ্যের বিষয়ে তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এসব দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কেউ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে না পারে।
তিনি সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের মানুষ এখন তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”