ফিলিস্তিন ইস্যুতে এরদোয়ান-ম্যাক্রো ফোনালাপ, যেসব আলোচনা হলো

আন্তর্জাতিক

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে ফোনালাপে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুলাই) দুই নেতার মধ্যে এই আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল কার্যালয়।

আলোচনায় এরদোয়ান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি জোর দেন একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর।

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এখনই অবসান ঘটাতে হবে। এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অত্যাবশ্যক।’

আলোচনার এক পর্যায়ে ফ্রান্সের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি ম্যাক্রোঁকে এই সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন জানান। এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে প্রো-ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন যে, সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। এর মধ্য দিয়ে ফ্রান্স হতে যাচ্ছে জি-৭ ভুক্ত প্রথম দেশ, যারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া পোস্টে লেখে, ‘যেভাবে ১৯৪৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ফ্রান্স ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তেমনিভাবেই এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ফ্রান্স।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা, দেখা দিয়েছে চরম খাদ্যসংকট।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কঠোর সমালোচনায় নামছে ফ্রান্স। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলাকে “অযৌক্তিক” বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং রাফায় ইসরায়েলের অভিযানকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলেও সতর্ক করেন।

আরও পড়ুনঃ ইরানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ আক্রমণ কল্পনার বাইরে যে পরিণতি ভোগ করছে ইসরাইল
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *