ফাইটার জেট বিধ্বস্ত ট্রাজেডি: ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দুষছেন জনতা

সারাদেশ

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে একটি ফাইটার জেট বিধ্বস্তের ঘটনায় ব্যাপক শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে। একই সাথে এই ঘটনায় সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং জনগণের আলোচনায় এই দুর্ঘটনার পেছনে ক্ষমতায় থাকাকালে ফ্যাসিবাদী হাসিনার তৈরি চরম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে।

জানা যায়, প্রশিক্ষণ বিমানগুলো অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। অনেক দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করে দেশপ্রেমিক বিমানবাহিনী কোনভাবে চালিয়ে রেখেছে- এমনটি ধারণা নেটিজেনদের। কেননা গত ১৭ বছরের বিমান বাহিনীর উন্নয়নে কোন কাজই করে নাই হাসিনা। ভারতের গোলামী করার জন্যই সে বিমান বাহিনীকে দুর্বল করে রেখে গেছে বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।

আমাদের অসীম সাহসী ফাইটার পাইলটেরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পুরনো বিমানগুলো চালাচ্ছেন। বিগত কয়েক বছরে অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেকগুলো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। তিন/চার মাস আগে চট্টগ্রামে একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান।

আজ সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ফাইটার জেট বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় একাধিক শিক্ষার্থীকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে ওঠানো হচ্ছে এবং ফায়ার সার্ভিস অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বিমানটি উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের মাঠের কাছে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়।বাংলাদেশ ভ্রমণ গাইড
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দুষছেন জনতা
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরপরই ফেসবুক, টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য পোস্ট, মন্তব্য ও হ্যাশট্যাগ দেখা যায়, যেখানে এই দুর্ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। নেটাগরিকরা দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। একই সাথে, তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন।

জনগণের অভিযোগ, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা মনে করছেন, এই দুর্ঘটনা তারই ফল। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ে অনিয়ম এবং পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ সরঞ্জামের ব্যবহারকে এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। এমন অভিযোগও রয়েছে, খুনি হাসিনার আমলে সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কারণে তাদের পেশাদারিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

অনেকের মতে, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা হয়েছে, যার প্রভাব সামরিক বাহিনীতেও পড়তে পারে। বিমান ক্রয়ের স্বচ্ছতা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, সরকারের সামগ্রিক অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।

ফাইটার জেট বিধ্বস্তের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ করছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়।বাংলাদেশ ভ্রমণ গাইড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *