বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সৈকত হোসেন (১৯) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে ওই ছাত্রীর দাদি ও ভাবি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সৈকতকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন হরিগাড়ি এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেগম (৬৫) ও নাতি পারভেজ হোসেনের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বুধবার রাতে তিনি ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় কিশোরীকে রক্ষা করতে এলে তার দাদি ও ভাবিকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, অভিযুক্ত সৈকতকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইলী বেগম ও হাবিবা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।