কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার হলখানা ইউনিয়নের কাগজি পাড়ায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে স্থানীয়রা। শনিবার নিজ বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরী জান্নাতি খাতুনের মরদেহ। প্রাথমিকভাবে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত জান্নাতির চাচা খলিলুর রহমান।
তবে তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে রোমহর্ষক তথ্য। জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বাবা-মা-ই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের আদরের সন্তানকে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতির বাবা জাহিদুল ইসলাম ও মা মাশেদা বেগম হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ৩২ বিঘা জমি নিয়ে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিরোধ চলছিল জাহিদুল ইসলামের। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা পরিকল্পনা করে জান্নাতিকে নির্মমভাবে খুন করে। শনিবার গভীর রাতে বিরোধপূর্ণ জমিতেই রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জান্নাতিকে। এরপর মরদেহটি ফেলে রেখে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে তারা।
এই নির্মম ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয়রা এই জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় বাবা-মা ও চাচি শাহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।