নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর চালানো হামলা নিয়ে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই যে,
এটি হত্যার উদ্দেশ্যেই সংঘটিত হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হামলার ধরণ এবং পদ্ধতি স্পষ্ট করে দিচ্ছে—নুরদের মেরে ফেলার জন্যই এ আক্রমণ চালানো হয়।
প্রশ্ন উঠছে—কি পরিমাণ ঘৃণা, আক্রোশ এবং প্রতিহিংসা থাকলে এভাবে একজন মানুষকে অমানবিকভাবে পেটানো যায়? নুর ও তার সহযোগীরা এমন কী অপরাধ করেছিলেন যে তাদের এভাবে জীবননাশের চেষ্টা করা হলো?
আরও পড়ুনঃ জানা গেল জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি কবে হচ্ছে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নুরদের কার্যক্রমে কারও স্বার্থে আঘাত লেগেছিল। কার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছিল নুরুল হক নুর? সেটা কি কচুক্ষেতের, নাকি ইন্টেরিম সরকারের বিরোধী কোনো শক্তির? এ প্রশ্নই এখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
নুরুল হক নুর ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত। তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে যে পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরই কেউ বা কোনো গোষ্ঠী এই হামলার নেপথ্যে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর আগে শেষ বার্তায় যা লিখেছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক শরীফ
ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে হামলার উদ্দেশ্য যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই—এমনটাই বলছেন পর্যবেক্ষকরা।