দাবি মানার পরও আন্দোলন, ইন্ধন দিচ্ছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ!

Uncategorized

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের গোল চত্বরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা দেরি করে দেওয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকেও প্রত্যাহার করা হয়। তারপরও সচিবালয়ে ঢুকে ভাংচুর চালায় একদল শিক্ষার্থী। আর দাবি মেনে নেওয়ার পরেও এ সহিংসতার পেছনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ইন্ধন রয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছিল তখন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ঘণ্টায় অন্তত ১০টি পোস্ট শেয়ার করা হয়। যেখানে সব পোস্টেই আন্দোলনে ‘উস্কানি’ দেওয়া হয়। এছাড়াও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সহিংসতায় ‘উস্কানি’ দিচ্ছেন এবং অংশ নিচ্ছেন, যার বিভিন্ন স্ক্রিনশট ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এদিকে, সচিবালয়ে ঘেরাও করতে আসা আন্দোলনকারী অনেককেই নিজেদের শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করলেও নিজেদের পরিচয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেনি।

এর আগে, শিক্ষা সচিব ও উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন দৌড়ে দূরে সরে যান। এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে রাত ৩টায় সিদ্ধান্তের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তারা।

এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি তোলা হয়েছে তা হলো— দুর্ঘটনায় নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। আহতদের নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের গায়ে সেনাসদস্যদের ‘হাত তোলার’ অভিযোগে নিঃশর্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমান বাতিল করে নতুন ও নিরাপদ প্লেন চালু করতে হবে। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ এলাকা মানবিক ও নিরাপদভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। যা ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *