ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ, ইরানেই…

আন্তর্জাতিক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চেষ্টার অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পরেও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় স্পষ্ট হতাশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি অত্যন্ত হতাশ। আমার মনে হয় না, প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থামাতে চান। এটা দুঃখজনক।”

রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, রুশ প্রেসিডেন্ট এখনো এই ফোনালাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার মুখপাত্র ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান আলোচনার বিষয়টি এই ফোনালাপে গুরুত্ব পেয়েছে।

ক্রেমলিনে এক ব্রিফিংয়ে উশাকভ বলেন, “আমরা এখনো রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘাতের সমাধান খুঁজে যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট পুতিন ট্রাম্পকে ইস্তাম্বুলে সম্পাদিত মানবিক চুক্তির অগ্রগতিও জানিয়েছেন। তবে তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, যুদ্ধের শুরুর সময় যেসব লক্ষ্য রাশিয়া নিয়েছিল, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।”

ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ ড্রোন হামলায় এক আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও ভারী গোলাগুলির খবরও পাওয়া গেছে। একই সময়ে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ গোলাবর্ষণে পাঁচজন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা অস্ত্র সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করিনি। তবে বাইডেন প্রশাসন এত বেশি অস্ত্র পাঠিয়েছে যে এতে আমাদের নিজের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে গেছে। দেশের অস্ত্রাগার অনেকটাই খালি হয়ে গেছে ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই ফোনালাপ শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নয়— বরং এর আড়ালে ইরানকেন্দ্রিক নতুন ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশও জড়িত থাকতে পারে। যুদ্ধ থামানোর দোহাই দিয়ে হোয়াইট হাউস যদি ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যে অন্য কোনো নতুন মিশনের জন্য পথ তৈরি করছে, তবে সেটিই হয়তো “আসল খেলা”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *