জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ১৫নং ছাত্রী হলে নিয়মবহির্ভূতভাবে সোয়া ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন বিএনপিপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান। ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখার এখতিয়ার তার নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনাটি ঘটে গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র জানায়, ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ২১ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল। এ সেলের দায়িত্ব ছিল ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন এবং কোনো অসংগতি থাকলে কমিশনকে অবহিত করা। কিন্তু অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান ১৫নং ছাত্রী হলে প্রবেশ করে ভোটারদের হাতে মার্কারের কালি উঠে যাচ্ছে-এমন অভিযোগের কথা বলে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ করে দেন। পরে নির্বাচন কমিশনের সচিব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক করেন।
সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা হলটির প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরিন জলি বলেন, নিয়মানুযায়ী আমি ভোটগ্রহণ রুমে থাকতে পারি না। সে জন্য নিজের অফিস কক্ষে ছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে শুনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান সোয়া এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছেন। তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে বিনা অনুমতিতে মেয়েদের হলে ছেলেদের প্রবেশ করিয়েছেন।
জানতে চাইলে অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান বলেন, আমি সেখানে পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। অসংগতি দেখেই ভোটগ্রহণ বন্ধ করি।
জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী বলেন, মনিটরিং সেলের সদস্য নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন না। এই এখতিয়ার তার নেই। নির্বাচন বন্ধ করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি লাগবে।