চুলকানি এখন মহামারী – প্রতিদিনের এই ৫টি ভুল বন্ধ করুন!

লাইফ স্টাইল

বর্তমানে চুলকানি শুধু একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী এটি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শহুরে জীবন, দূষণ, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার এবং ভুল অভ্যাসগুলো চুলকানি ও স্ক্যাল্প সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মাথার চুলকানি বা স্ক্যাল্প সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু ভুলই এই সমস্যাকে আরও বাড়াচ্ছে।

প্রতিদিনের ৫টি ভুল, যা চুলকানিকে ভয়ঙ্কর করছে
১. অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার
বেশিরভাগ শ্যাম্পুতে সালফেট ও অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে যা স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। এর ফলে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে চুলকানি শুরু হয়।

২. ঘন ঘন হেয়ার কালার বা স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার
হেয়ার কালার, জেল বা স্প্রে-তে থাকা কেমিক্যাল স্ক্যাল্পে অ্যালার্জি বা ইনফেকশন তৈরি করে। এটি চুলকানির অন্যতম প্রধান কারণ।

৩. ভুলভাবে চুল ধোয়া
অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। আবার অনেকেই চুল ধোয়ার পর ভালোভাবে শুকনো করেন না, যা ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়।

৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অতিরিক্ত তেলযুক্ত ও জাঙ্ক ফুড স্ক্যাল্পের স্বাভাবিক তেলের ভারসাম্য নষ্ট করে। এর ফলে স্ক্যাল্পে ফাঙ্গাস বা ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৫. নখ দিয়ে মাথা চুলকানো
চুলকানির সময় আমরা প্রায়ই নখ দিয়ে স্ক্যাল্প চুলকাই। এতে ছোট ছোট ক্ষত তৈরি হয় এবং সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়।

চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়
সপ্তাহে ২-৩ বার অ্যান্টি-দাঁদ শ্যাম্পু (যেমন কেটোকোনাজল, জিংক পাইরিথাইওন) ব্যবহার করুন।

প্রাকৃতিক তেল (নারকেল/অলিভ অয়েল) দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন।

হেয়ার কালার বা রাসায়নিক প্রোডাক্ট ব্যবহার কমান।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

সমস্যার তীব্রতা বাড়লে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *