কাবরেরাকে সরিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে মুক্তি দিতে চাই, বললেন বাফুফে সদস্য

খেলা

কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে অসন্তোষ আছে বাফুফেতে, ইঙ্গিত মিলছিল সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগেই। সেটা আবার একটি বিষয় নিয়ে নয়, নানা বিষয়ে তার প্রতি অসন্তুষ্টি ছিল ফেডারেশনের মাঝে। সেটাই প্রকাশ পেয়ে গেল আজ।

কোচ কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই অনেক দিন ধরেই। তবে সে সব সমালোচনা এক পাশে রেখেই কাবরেরাকে কোচ হিসেবে রেখে দিয়েছিল ফেডারেশন।

এই সিদ্ধান্ত যে সর্বসম্মতিক্রমে এসেছিল, বিষয়টা এমনও নয়। তার ওপর অসন্তোষ ফেডারেশনের ভেতরই ছিল। এবার ভরা সংবাদ সম্মেলনে সেটা বেরিয়ে এল প্রকাশ্যে। কোচের পদত্যাগ চাইলেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। শাহীন জাতীয় দল কমিটির সদস্যও। ভরা মজলিসে তার এমন চাওয়া প্রকাশ পেয়ে যাওয়াটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে বেশ।

আজ রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে নিজেদের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাফুফে। সেখানে শাহীনের দায়িত্ব ছিল অভ্যন্তরীণ অডিট কথা বোলার। তবে তিনি প্রথমেই জাতীয় দলের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে আমি কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ চাচ্ছি। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করতে এটা চাইছি। কাবরেরার পদত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাইছি।’

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হেরেছে। সে ম্যাচে প্রথাগত স্ট্রাইকার না খেলানো, শেষ দিকে অদ্ভুতুড়ে কৌশলে দলকে খেলানো, দিনকয়েক আগে বড় ধাক্কার মধ্য দিয়ে যাওয়া গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে গোলমুখে রাখা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে অনেক।

এরপর দিন কাবরেরা কোনো জবাবদিহি না করেই চলে যান নিজ দেশ স্পেনে। তার ছুটি নিয়েও অসন্তোষ আছে বেশ। চলতি বছর মার্চ থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩০ দিনও বাংলাদেশে থাকেননি তিনি। এমনকি ফুটবলের ভরা মৌসুমে তিনি ছিলেন ছুটিতে। ফলে তার দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দেশের ফুটবল কোচেরা।

সব মিলিয়ে তার প্রতি অসন্তোষটা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছিল। এবার সে ক্ষোভটা উগরে দিয়েছেন খোদ জাতীয় দল কমিটির সদস্য শাহীন।

তবে বিষয়টা যেমন গণমাধ্যমে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে, বাফুফেও ঘটনার আকস্মিকতায় বিব্রত। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এ বিষয়ে বলেন, ‘যেটা হয়েছে সেটা অপ্রত্যাশিত। এটা নিয়ে আমরা ইন্টারনালি আলোচনা করবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *