এমন হতে দেবো না, সৌদি যুবরাজের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোনালাপে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—মুসলিম বিশ্বের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানে কোনো হামলা চালাতে দেওয়া হবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সৌদি যুবরাজের মধ্যে এ কূটনৈতিক যোগাযোগ হয় ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরপরই, যেখানে এখন পর্যন্ত ৬০০-র বেশি ইরানি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন পারমাণবিক বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকরা।
টেলিফোন আলাপে ইরানি প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মুসলিম ঐক্যকে ভাঙতে চায়, কিন্তু ইরান বরাবরই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সংহতির পক্ষে।”

তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনের অধিকার, আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও পারমাণবিক কর্মসূচির বৈধতা নিয়েই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ইরান তার সার্বভৌমতা ও আত্মমর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

জবাবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, “ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রথম দিন থেকেই সৌদি আরব এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। রিয়াদ কখনোই মুসলিম দেশগুলোর মাটি ব্যবহার করে কোনো তৃতীয় পক্ষ—যেমন আমেরিকা বা ইসরায়েলের—হামলার ঘাঁটি গড়ে তুলতে দেবে না।”
তিনি আরও জানান, “আমরা কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় আছি, যাতে দ্রুত এই সংঘাত বন্ধ হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।”
উল্লেখ্য, সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ বিষয়ে সৌদি যুবরাজ বলেন, “ইরানের এই প্রতিক্রিয়া আমরা বুঝি এবং বিষয়টি উপলব্ধি করছি।”
এই উচ্চপর্যায়ের সৌদি-ইরান সংলাপ স্পষ্ট করে দিচ্ছে—বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের কাছে বিভাজন নয়, ঐক্যই বেশি প্রয়োজন। আর এই ঐক্যই হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল আগ্রাসনের কার্যকর জবাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *