এখনও স্বীকৃতি দেননি খামেনি

আন্তর্জাতিক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্টসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু এরপরেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দিক থেকে বিষয়টি স্বীকার করে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য আসেনি।

দেশটির কোনো বিষয়ে তার বক্তব্যই শেষ কথা। সে কারণে দেশটির ভেতরে ও বাইরে থেকে এখন নজর দেওয়া হচ্ছে, যে তিনি এ বিষয়ে কখন কথা বলেন। খবর বিবিসি

খামেনি তেহরানে তার নিয়মিত বাসবভনে অবস্থান না করে নিরাপদ বাঙ্কারে অবস্থান করছেন- এমন খবর আগেই এসেছে, যদিও তা ইরান নিশ্চিত করেনি।

সবশেষ গত ১৮ জুন তার আগে থেকে রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তা টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে। ওই ভাষণে তিনি ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। তবে ঘোষণার পরপরই ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে। ইসরায়েল হামলা চালিয়ে ইরানের একজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে সপরিবারে হত্যা করে। জবাবে ইরান ইসরায়েলের টেক সিটি বিরশেবাতে হামলা চালায়। এতে নিহত হন চারজন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ‘যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর হয়েছে। দয়া করে কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না।’ বিবিসির খবরে বলা হয়, এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, সামরিক অভিযান বন্ধে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ হামলা বন্ধ রাখলে পাল্টা হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই। পরে একই কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

পরে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে আবারও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্মানের। সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনা ও সক্ষমতা ধ্বংস করা আমার জন্য বিরাট সম্মানের ছিল। তারপরও যুদ্ধ বন্ধ করুন। গতকাল হেগে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে তিনি ওই পোস্ট করেন। তাতে তিনি আবারও বলেন, ইসরায়েল-ইরান উভয়েই সমানভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিল।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে স্বস্তি নিয়ে এলেও এক ধরনের সন্দেহ-উদ্বেগ রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সংঘাতে যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা চালানোর নজির আছে তেল আবিবের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *