জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে।
তাৎক্ষণিকভাবে বোতল নিক্ষেপকারীর পরিচয় জানা না গেলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে ভিডিও দেখে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, বোতল ছুড়ে মারা যুবকের নাম ইশতিয়াক হোসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম ব্যাচের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
বোতল নিক্ষেপের ঘটনার পর রাতেই ওই শিক্ষার্থীর পরিচয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিতে থাকেন। ‘জবিয়ান্স’ নামের একটি পেজের পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তার (বোতল নিক্ষেপকারী) নাম ইশতিয়াক হোসাইন। ডিপার্টমেন্ট অর্থনীতি, ব্যাচ ১৯।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. তাজাম্মুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের। আমাদের এখন মূল কাজ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিদাওয়া আদায়। ওই শিক্ষার্থীর এসব বিষয়ে এখন মাথা ঘামানোর সময় নেই। আমাদের দাবি আদায় হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।’
এদিকে, উপদেষ্টা মাহফুজকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। তারা এ ঘটনাকে ‘নিকৃষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন।
বোতল নিক্ষেপের পর ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম। এ ঘটনায় তিনি একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করেন। বলেন, ‘তাদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি যে হিংসা আট মাস ধরে রয়েছে এবং তাদের যে হিংস্রতা অনলাইনে দেখা যায়, তারা আজকে এখানে এটা করেছেন।’
এরপর রাত ১২টার দিকে কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন। এসময় তিনি উপদেষ্টার মাথায় পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ঘটনার সঙ্গে জবির সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা কোনোভাবেই দায়ী নন।’
সূত্র: জাগো নিউজ