ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠিন বার্তা যোদ্ধাদের

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর বার্তা দিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। দফায় দফায় ইয়েমেনে ইসরায়েলের হামলার পর গোষ্ঠীটি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

সোমবার (০৭ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতিদের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। গাজায় হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাবে হুতিরা। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুতিরা ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এরপর, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লোহিত সাগরের উপকূলে অবস্থিত হোদেইদাহ, রাস-ইসা এবং আস-সালিফ বন্দরগুলো এবং রাস কাথিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানায়, তারা হুতিদের দখলে থাকা গ্যালাক্সি লিডার জাহাজের রাডার সিস্টেমে হামলা করেছে। জাহাজটি হোদেইদাহ বন্দরে নোঙর করে রাখা আছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে হুতিরা এটি দখলে নেয়। জাহাজটি একটি জাপানি কোম্পানি পরিচালনা করলেও মালিকানা ছিল একটি ইসরায়েলি-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, এসব স্থাপনা ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ এবং হুতিদের মাধ্যমে লোহিত সাগরে সামুদ্রিক হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

রোববার আরেকটি ঘটনায় যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস জানায়, লোহিত সাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হুতিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র নৌকার হামলার শিকার হয়। আরপিজি এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলা নিরাপত্তা টিমের পাল্টা জবাবে ব্যর্থ হয় এবং হামলাকারীরা পিছু হটে যায়। হতাহত বা ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে- সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা বিঘ্ন, বন্দর অবকাঠামোতে হামলা এবং যুদ্ধাপরাধের ঝুঁকি গোটা অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ সংকটের দ্বার খুলে দিতে পারে।

এদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী নিরিমসহ আশপাশের এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়।

রোববার (৭ জুলাই) রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, রাত ৯টার কিছু পর দক্ষিণ গাজা থেকে রকেটটি ছোড়া হয় এবং এটি নিরিম এলাকার কাছে খোলা জায়গায় আঘাত হানে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রকেট হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তারা জানিয়েছে, খান ইউনুসের উত্তরের আল-সাতার ও আল-কারারায় ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরিম ও আইন হাশলোশা এলাকায় ১১৪ মিমি রাজউম ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *