ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পাল্টা জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে এক বিশাল সামরিক অভিযানে জেরুজালেম, তেল আবিবসহ মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, শুক্রবার রাতে চালানো এই অভিযানে ইরানের মিসাইলগুলো সরাসরি তেল আবিব ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে। ইসরায়েলের জরুরি স্বাস্থ্য সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (MDA) জানিয়েছে, এতে অন্তত ২ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শেবা মেডিকেল সেন্টার জানিয়েছে, হামলায় আহত ৪৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাদের মধ্যে ২৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, হামলায় বেশ কিছু ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ও সামরিক বাহিনী কাজ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলাম আলি রশিদ এবং ৬ জন পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হন।
পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইরান চালায় ট্রু প্রমিস-৩ অপারেশন। এই অভিযানের পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংকারে আশ্রয় নেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই উত্তেজনা দীর্ঘস্থায়ী হলে গোটা অঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।