কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ও আইনজীবী ফয়জুল করিম আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন, যার পরই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা খবরটি প্রচার শুরু করেন।
ফয়জুল করিম হলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জিয়াউর রহমান সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ফজলুর করিমের ছেলে। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এবং জেলা বিএনপির উপদপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গতকাল বিকেলে ফয়জুল করিম তার ফেসবুক আইডিতে ‘অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন’ নামের একটি পেজ থেকে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওতে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।”
ফয়জুল করিম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর জারি করা জুলাই সনদের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং শেখ হাসিনাকে দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
দলবদলের কারণ জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।”
তবে কীভাবে এবং কার মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো জবাব দেননি ফয়জুল করিম।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিএনপিতে এখন ফয়জুল করিমের কোনো পদ নেই। তাঁর কথাবার্তাও এখন ঠিক নেই।”
উল্লেখ্য, ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র: জনকণ্ঠ