আবারও বাড়লো চাল-ডাল-তেলের দাম

সারাদেশ

নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে চাল, তেল, ডাল ও পেঁয়াজসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

চালের দাম বৃদ্ধি: কারণ ও প্রভাব

পাইকারি ও খুচরা বাজারে মাঝারি মানের পাইজাম/লতা চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে এই চাল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল/মিনিকেট এবং ইরি/স্বর্ণা চালের দামও গত এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে, যা যথাক্রমে ৭৫-৮৭ টাকা ও ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের দাম বাড়ার পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। অসাধু মজুতদার এবং করপোরেট ব্যবসায়ীরা ধান মজুত করে রাখায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়া, বর্তমান বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান শুকানো কঠিন হওয়ায় চাল উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

তেল, ডাল ও পেঁয়াজের দাম

গত দুই দিনে সয়াবিন ও পামঅয়েলের দামও বেড়েছে। ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৫ টাকা বেড়ে ৩৭৫-৩৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পামঅয়েলও লিটারে ২ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ডালের মধ্যে মসুর ডাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে মাঝারি দানার মসুর ডাল ১০৫-১২৫ টাকা এবং ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডাল ও অ্যাংকর ডালের দামও বেড়েছে, যেখানে মুগ ডাল ১২০-১৮০ টাকা ও অ্যাংকর ডাল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজের দামও কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কিছুটা কমেছে, তবে আগামীতে দাম কমার আশা রয়েছে।

সবজি ও মাছের বাজার

সবজির বাজার এখনো চড়া। বেশিরভাগ সবজি যেমন পটোল, করল্লা, ঝিঙা ও বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শসার দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, যেখানে দেশি শসা ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে, প্রতি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা।

মাছের বাজারে ইলিশের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৩০০ থেকে ২,৫০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *