৪৫ বছর পর ইতিহাস গড়ে এশিয়ান কাপে মেয়েরা

খেলা

এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়েই এশিয়ান কাপে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। দিনের অপর ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান ২-২ গোলে সমতা করায় এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের।

এতেই ঋতুপর্ণা-আফেইদারা গড়েছেন ইতিহাস। ৪৫ বছর পর ফুটবলে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এর আগে ১৯৮০ সালে ছেলেদের ফুটবল দল এশিয়ান কাপে খেলেছিল।বাংলাদেশ বাছাইপর্বে আগেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল। এরপর হারায় মিয়ানমারকে। মেয়েরা তাই তাকিয়ে ছিল তুর্কমেনিস্তানের দিকে। বাহরাইনকে তুর্কমেনিস্তান হারাতে পারলে এবং তারা বাংলাদেশকেও হারালে তখন সমীকরণে তাকিয়ে থাকত হতো। মুখোমুখি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় বাদও পড়তে পারত বাংলাদেশ।

এশিয়ান কাপের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয় পাওয়ার ওই নিয়মেই এক ম্যাচ হাতে রেখে মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার ও বাহরাইনকে যেহেতু হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পরবর্তী ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে মিয়ানমার জিতলে এবং বাংলাদেশ তুর্কমেনিস্তানের কাছে হারলে দুই দলের সমান ৬ পয়েন্ট হবে। তবু মুখোমুখি লড়াইয়ে মিয়ানমারকে হারানোয় বাংলাদেশ খেলবে এশিয়ান কাপে।

আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে মেয়েদের এশিয়া কাপের আসর। টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১২ দল। এর মধ্যে স্বাগতিক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সরাসরি টুর্নামেন্ট খেলবে। ২০২২ সালের এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্স আপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান সরাসরি আগামী এশিয়া কাপে খেলবে। আট গ্রুপের সেরা হিসেবে বাকি আট দল আসবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *