পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শর্তসাপেক্ষ এবং প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থার ‘ইন্দাস ওয়াটারস ট্রিটি (সিন্ধু পানি চুক্তি) মুলতবি রাখার বিষয়ে ভারতের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন সূত্র।
সূত্রগুলো জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তান থেকেই এসেছে, এবং এই প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের একটি বিবৃতির কথাও উল্লেখ ওই বিবৃতিতে জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান আপোষহীন এবং তা কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন হবে না।
যুদ্ধবিরতির পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, পাকিস্তানের তিনটি বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ভারত সফলভাবে প্রতিহত করেছে এবং পাল্টা আঘাতে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার ফলে তাদের আকাশসীমা রক্ষা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পাকিস্তানের প্রতিটি আগ্রাসনের জবাব ভারত শক্ত হাতে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেকোনো রকম উত্তেজনার জবাবও হবে চূড়ান্তভাবে নির্ধারক।
চার দিনের সংঘর্ষের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ঘোষণা আসে শনিবার (১০মে) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে। তিনি দাবি করেন, এই যুদ্ধবিরতি ছিল ‘একটি দীর্ঘ রাতের আলোচনার ফল।’
তবে এর কিছুক্ষণ পরই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) ভারতীয় সমকক্ষকে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে ফোন করেন এবং উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমও-কে ফোন করেন। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়। দুই পক্ষই আজ বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করবে। উভয় পক্ষকেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এক্স-এ লিখেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান আজ গোলাগুলি ও সামরিক কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। তবে ভারত সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও আপোষহীন অবস্থানে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।’