ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে পাকিস্তান সুপার লিগ ২০২৫। শুরুতে পিএসএলের এবারের মৌসুম সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এক দিন না পেরোতেই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ।
পিএসএল কর্তাদের হঠাত এ সিদ্ধান্ত বদল হয় ইসলামাবাদে এক জরুরি বৈঠক শেষে। মূলত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের পরামর্শে।
পিসিবি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের মানসিক সুস্থতা এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের পরিবারের উদ্বেগকে সম্মান করি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের দেশে ফেরার ইচ্ছাকেই আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’
বাকি থাকা ৮টি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। শুক্রবার রাতেই ভিসা পাওয়া খেলোয়াড়দের রওনা হওয়ার কথা ছিল, বাকিদের জন্য ভিসা আবেদন চলছিল। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায়। নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এখন খেলোয়াড়দের দেশে ফেরার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
এর আগে আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা আসে। যদিও কর্তৃপক্ষ জানায়, এ স্থগিতাদেশ মোটে ৭ দিনের জন্য। এর কয়েক ঘণ্টা পরই এলো পিএসএল স্থগিত হওয়ার খবর। ফলে উপমহাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সামনে চলে এলো বিরল এক পরিস্থিতি, যখন দুই দেশের প্রধান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ একসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সভাপতিত্বে বৈঠকে বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা হয়। তারা বিপুলভাবে টুর্নামেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দেন। তবে তার আগেই পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে মোড় নেয়, যার ফলে স্থগিত করে দেওয়া হয় পুরো লিগ। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ক্রিকেট একতা ও আনন্দের প্রতীক হলেও কিছু সময় সম্মানজনক বিরতি নেওয়াই শ্রেয়।’
পিএসএলের এমন স্থগিতাদেশের ফলে এবারের মৌসুম নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। বাকি অংশ কবে মাঠে গড়াবে, কিংবা আদৌ গড়াবে কি না, সেসব নিয়েও আছে অনেক জল্পনা-কল্পনা।