নিউজ ডেষ্ক– করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অপ্রত্যাশিত গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে। আজ(সোমবার) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে চার শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে বেড়েছে প্রাকৃতির গ্যাসের দাম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অয়েল প্রাইস ডটকমের হিসাব অনুযায়ী, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৪১ মার্কিন ডলার। এদিন প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৬৭ দশমিক ৪৫ ডলারে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ক্রুডের দামও আগের থেকে কমেছে অনেকটা। সোমবার এর দরপতন হয়েছে পুরো চার শতাংশ বা ২ দশমিক ৯৪ ডলার। আর এদিন প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৭০ দশমিক ৫৮ ডলারে।
এছাড়াও কমেছে হিটিং অয়েলের দামও। সোমবার এর দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে নতুন দামে বিক্রি হয়েছে ২ দশমিক ১৩৫ ডলারে।
তবে, অন্যদিকে বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। সোমবার এর দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ০.১৩৯ ডলার বেড়ে প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি হয়েছে ৩ দশমিক ৮২৯ ডলারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকা এবং ইউরোপ-আমেরিকায় সামাজিক বিধিনিষেধ ফিরে আসায় নতুন করে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর কারণেই বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী রয়েছে তেলের দাম।
গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে আবারও লকডাউন শুরু হয়েছে নেদারল্যান্ডস। বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ সামনে রেখে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে কড়া সিদ্ধান্ত আসবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বিধি ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে ইতালি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নতুন স্বাস্থ্যবিধির ঘোষণা দিতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।