বিএনপি নেতা আটক

রাজনীতি

কক্সবাজার জেলা পরিষদে ঘুষ লেনদেনের সময় কামরুল হাসান নামে এক বিএনপি নেতাকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ সময় কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি মূলহোতা জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী রেজাইল করিমকে। আটককৃত কামরুল কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে, বুধবার (২৮ মে) বিকেলে আটককৃত বিএনপি নেতা কামরুল হাসানকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।

দুদক এবং অভিযোগকারী সূত্রে জানা গেছে, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পতিত জমিতে অনুমতি সাপেক্ষে ৬টি দোকানঘর নির্মাণ করেন স্থানীয় আজিজুল হক। পরে ওই দোকানের জন্য তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন জেলা পরিষদের কর্মচারী রেজাউল করিম। টাকা না দিলে দোকান উচ্ছেদের হুমকি দেয়ায় আজিজুল বিষয়টি দুদকের নজরে আনেন।

পরে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে জেলা পরিষদে রেজাউলের কক্ষে গিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন আজিজুল। বাকি টাকা কুতুবদিয়ায় রেজাউলের ভাই মাহমুদুলের হাতে দিতে বলেন তিনি। এরইমধ্যে দুদক ওই কক্ষে উপস্থিত হলে কৌশলে পালিয়ে যায় রেজাউল।

এ সময় ৫০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয় রেজাউলের সহযোগী বিএনপি নেতা কামরুল হাসানকে। কামরুল মূলত রেজাউলের ঘুষ লেনদেনে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। আটকের সময় তিনি রেজাউলের কক্ষে ছিলেন।

ভুক্তভোগী আজিজুল হল জানান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর কথা বলে ঘুষ দাবি করেছিলেন রেজাউল। অন্যথায় দোকান উচ্ছেদের হুমকি দেন।

দুদক সমন্বিত কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন জানান, এই ঘটনায় দুদক রেজাউল করিম এবং কামরুল হাসানকে আসামি করে মামলা রুজু করে। তবে রেজাউল পলাতক। দুদক বলছে, এই ঘটনায় বাকি যারা সম্পৃক্ত তাদেরও তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদের কর্মচারী রেজাউলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু তবুও অদৃশ্য ক্ষমতায় পার পেয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *