ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন বলে জানান খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের লাইভ প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের সংযম স্বীকার করেছেন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্বশীল মনোভাবের জন্য প্রশংসা করেছেন।
উভয় নেতা টেলিফোনে কথোপকথনের সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তানের সর্বকালের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার এবং ‘আয়রন ফ্রেন্ড’ হিসেবে চীন পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে পাশে থাকবে।
এদিকে এক্স-পোস্টে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, উভয় নেতাই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং আগামী দিনগুলোতে চলমান সমন্বয় বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ভারত ও পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। নিজের ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ জ্ঞান এবং দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।’
এরপর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এই যুদ্ধবিরতি বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে জানান, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দিনভর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিলো, যার ফলে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। পৃথকভাবে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত ও পাকিস্তান আজ গুলিবর্ষণ এবং সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করার দায় চাপানো হয়েছে।