নিউজ ডেষ্ক- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ. এফ. রহমান হলে ফের ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুম’ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী হল প্রভোস্ট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র প্রদান করেন। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগপত্র মতে, নির্যাতিত মোল্লা তৈমুর রহমান শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। হল মাঠে অন্য একজন সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলার দায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গেস্টরুমে তাকে চড় মারা হয়।
সূত্র জানায়, অভিযুক্ত রোকনুজ্জামান রোকন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং এ.এফ.আর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোনেম শাহরিয়ার মুনের অনুসারী। মুনেম শাহরিয়ার মুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
তৈমুরের অভিযোগ করেন, তাকে খুব জোরে চড় মারা হয় বলে পরবর্তী কয়েকঘণ্টা সে কানে শুনতে পায়নি পাশাপাশি তীব্র মাথাব্যথায়ও ভোগেন। নির্যাতনের পর অভিযুক্ত রোকন তাকে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিলে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তৈমুর তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এ.এফ.আর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, অভিযোগকারী হল প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র প্রদান করেছে এবং সে অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রভোস্ট স্যারকে পূর্ণ সহযোগিতা করব। পাশাপাশি আমরাও অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীর সঙ্গে বসে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সে অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আজকেই আমার কাছে অভিযোগপত্রটি এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ফারুক শাহ ও ড. মুমিত আল রশিদকে নিয়ে ২ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ২ দিনের মধ্যে প্রদান করা হবে। আমরা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেন। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।