ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অন্যতম উস্কানিদাতা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী গণধোলাই খেয়ে এবার চোরের মত লেজ গুটিয়ে পালিয়েছেন। ২৬০ জন মুসলমান লাশ ফেলার কথা বলে সস্তা জনপ্রিয়তা আদায় করতে চাওয়া এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এবার ক্ষেপে গেছেন স্বয়ং তার নিজ দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের তার নিজ রাজ্যের লোকজন।
এক কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে ভারতের কসাইখ্যাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কথিত প্রতিশোধের নামে পাকিস্তানের সাধারণ মুসলমানদের ওপর মিসাইল হামলা চালালেন। ঠিক তখনই কথার ফুলঝুরিতে যেনে যুদ্ধে জিতে গেছেন শুভেন্দু। বিজেপির এই নেতা প্রকাশ্যে মুসলিম নিধনের কথা বললেন মিডিয়ার সামনে। মাঝেমধ্যেই ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতেও দেখা যায় শুভেন্দুকে । তার ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে কলকাতার রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবীতে আন্দোলন করতে থাকেন রাজ্যজুড়ে।
জানা যায়, সম্প্রতি এই আন্দোলনের সময় হঠাৎ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে শুভেন্দুর গাড়ি। জনতা তার গাড়ি দেখতে পেয়ে আরো বেশী উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তার গাড়িতে হামলা চালায়। শুভেন্দু গাড়ি থেকে বের হয়ে শান্ত করার চেষ্টা করলে জনতা তাকে রীতিমতো গণধোলাই দেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবী, গণধোলাই খেয়ে গাড়ি রেখেই ধুতি হাতে চোরের মতো লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যান ইসলাম বিদ্বেষী এই বিজেপি নেতা। এসময় আন্দোলনকারীরা শুভেন্দুকে ধাওয়া করে। তাদের মতে, শুভেন্দুর কারণেই ভারতে হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষের শুরু হয়েছে। এছাড়া পাক-ভারত যুদ্ধও এই নেতার ইন্ধোনেই লেগেছিলো বলে ধারণা আন্দোলনকারীদের।