খুশি হয়েই যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন: বাস মালিক সমিতি

বাংলাদেশ breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- ঈদ উদ্‌যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গতকাল শনিবার ১৬ জুলাই উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে প্রতিটি বাসেই স্বাভাবিক সময়ে চেয়ে দিগুণ ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সদস্য রোমান আহাম্মেদ বলছেন, যাত্রীরা খুশি হয়েই ভাড়া বেশি দিচ্ছেন।

এদিন ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে বাড়তে থাকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ঢাকামুখী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ। প্রতিটি বাসেই যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থেকে আসা পোশাককর্মী শুভ শেখ বলেন, অন্য সময়ে আমরা কড্ডা থেকে চন্দ্রায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় যাতায়াত করি। কিন্তু এখন ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে দিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।

এদিকে জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল থেকে আসা যাত্রী সজল ও সম্রাট জানান, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তারা। আসার সময়ও তাদের বাড়তি ভাড়া দিতে হয়েছে। আবার ঢাকায় ফিরতেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।

তারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে কড্ডা থেকে গাবতলী যেতে ২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হতো, সেখানে এখন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সবগুলো গাড়িতে একইভাবে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। অনেক গাড়িতে আবার সিটও নেই। এভাবে বেশি ভাড়া নিলে আমরা যাবো কীভাবে। আসলে সব গাড়িতেই একই অবস্থা। এখন কী আর করার। আমাদের আগামীকাল থেকে অফিস খুলবে তাই বাধ্য হয়ে ভাড়া বেশি দিয়েই যেতে হবে।

যাত্রী বাস ছাড়া ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন পরিবহনে করেও রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। ট্রাকে জন প্রতি সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে করেও অনেককে রাজধানীতে ফিরতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলে ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় রিজার্ভ সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় পৌঁছে দিচ্ছে।

এদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সদস্য রোমান আহাম্মেদ জানান, আমাদের বাসগুলো সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাত্রী ভরে নিয়ে গেলেও ফেরার পথে ফাঁকা আসতে হচ্ছে। কারণ ঢাকা থেকে আসার পথে কোনো যাত্রী পাওয়া যায় না। এতে আমাদের গাড়ির খরচ উঠানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ গাড়ির তেল খরচসহ বিভিন্ন খরচ রয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল দিতে হচ্ছে দুপাড়েই। এজন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীও খুশি হয়ে ভাড়া বেশি দিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় দিগুণ ভাড়া নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ভাড়া কিছুটা বেশি নিলেও কোনো গাড়িই ডাবল ভাড়া নিতে পারবে না। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সব সময় নজর রাখছি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *