নিউজ ডেষ্ক- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন বিবেচনা করতে উপমহাদেশের কোনো আদালতে এমন নজির আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ (বুধবার) বিকালে তার গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আবারও বলেন, “খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আইনি কোনো সুযোগ আপাতত নেই। তারপরও বিএনপিপন্থী ১৫ জন আইনজীবীর দেওয়া প্রস্তাব আমরা খতিয়ে দেখছি। ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়- তা আর পুনর্বিবেচনার কোন সুযোগ থাকে না।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, “আমি যে বক্তব্য দিয়েছি যে, ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে সেই দরখাস্তটি পুনরুজ্জীবিত করার কোনো সুযোগ নাই। আমি সেই আইনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম সেই আইনি ব্যাখ্যাই কিন্তু সঠিক।তারপরেও আমি বলেছি যে, ১৫ জন আইনজীবী আমার সাথে দেখা করেছেন। তারা একটা বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এই বক্তব্য কোনো দেশে কোনো সময় বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশের কোনো আদালতে নজির আছে কিনা আমি সেটা খতিয়ে দেখছি।”
এসময় সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, “আমর দেখা এখনো শেষ না হলেও তবে শেষ প্রান্তে এসেছি। আপনারা কিছুদিনের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এর ছয়দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাত থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।পরে তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।