আজ রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে। ডাবল লাইন না হলে কোনো ভাবেই শিডিউল বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। আজ বুধবার ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্বে পড়ে।
আধা ঘণ্টা পিছিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ট্রেন ছাড়ার সময় নির্ধারণ হলেও ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। তবে এর আগেই সকাল ৬টা ২০ মিনিটে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টেশন ছাড়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় ঈদযাত্রা।
এদিকে সঠিক সময়ে প্লাটফর্মে অবস্থান করতে দেখা গেছে কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্দুর প্রভাতী, দেওয়ানগঞ্জ অভিমুখী তিস্তা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী। এবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশনসহ পাঁচটি স্থানে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ঈদযাত্রার প্রতিটি ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে আলাদা কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে ছয়টি বিশেষ ট্রেন চলবে। এগুলো হচ্ছে- চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এক জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া, খুলনা স্পেশাল এক জোড়া। এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে না। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে পঞ্চম দিনের মতো ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এদিন বিক্রি হচ্ছে ১ মে’র টিকিট। ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে।