ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান

আন্তর্জাতিক

দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ না নেয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান। রবিবার (১৫ই জুন) রয়টার্সকে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরান মধ্যস্থতাকারী কাতার ও ওমানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় তারা আলোচনায় বসবে না। দুই দেশের মধ্যে নতুন করে হামলা শুরু হওয়ায় এবং সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই এই কঠোর অবস্থান জানাল তেহরান। সোমবার (১৬ই জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, “ইসরায়েলি পূর্বপরিকল্পিত হামলার জবাব ইরান শেষ করার পরই তারা কেবল গুরুতর আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার ও ইরানকে জানিয়েছে ইরান।”

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে “হামলার মুখে তারা আলোচনা করবে না।”

শুক্রবার সকালে ইসরায়েল ইরানের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়, যা ইরানের সামরিক কমান্ডের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং তাদের পারমাণবিক স্থাপনারও ক্ষতি করে। আর তেলআবিব বলছে আগামী দিনগুলোতে তাদের অভিযান আরও বাড়বে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান “দোজখের দরজা খুলে দেওয়ার” অঙ্গীকার করেছে, যা দীর্ঘদিনের এই দুই শত্রুর মধ্যে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সংঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে আরও জানায়, ওমান ও কাতারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা এবং পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য ইরান অনুরোধ করেছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে, তা সঠিক নয়। এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা ওমানের তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো সাড়া দেয়নি।

উল্লেখ্য, ওমান যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছে, যদিও ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার একদিন পর সর্বশেষ এই আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। ওমান ও কাতারের উভয় দেশেরই ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *