ইরানে মজুদ ইউরেনিয়ামে যতটি পারমাণবিক বোমা তৈরি সম্ভব

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাও (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে, যা দিয়ে নয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যেতে পারে। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পাশাপাশি বোমা তৈরির নকশা এবং ডেলিভারি সিস্টেম বা বহনের প্রযুক্তি তৈরি করাও দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল প্রক্রিয়া।

তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েলি হামলার কারণে হয়ত ভবিষ্যতে অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে ইরানকে—যা এতদিনে তারা নেয়নি। তবে সাম্প্রতিক আঘাতে ইরানের প্রযুক্তিগত ও সামরিক সক্ষমতা কতটা অক্ষত রয়েছে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্যের সাথে পরিচিত একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফলে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করার ক্ষমতা বা দক্ষতা দেশটির রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

চারটি স্বতন্ত্র সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরান এখনো সক্রিয়ভাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে নেই। বরং তারা মূলত পারমাণবিক গবেষণা ও জ্বালানিভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড গত মার্চ মাসে কংগ্রেসে বলেছিলেন, ‘আমাদের মূল্যায়নে এখনো মনে হয় না যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে বা সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ি ২০০৩ সালে স্থগিত করা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি অনুমোদন করেননি।’

কয়েক মাস আগে গ্যাবার্ডের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কতটা কাছাকাছি, সে সম্পর্কে ব্যক্তিগত অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব কাছাকাছি।’ নেতানিয়াহুও জানান, তাদের ও মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্য থেকে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইরান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *