ইরানের তেল রফতানিতে নতুন রেকর্ড

আন্তর্জাতিক

চীনে তেল রফতানিতে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে ইরান, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ঘটেছে। বর্তমানে ইরান প্রতিদিন ১৮ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল তেল চীনে রফতানি করছে, যা দেশটির তেল রফতানি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের শীর্ষ তেল আমদানিকারক হিসেবে চীন ইরানি অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম ক্রেতা। সাম্প্রতিক ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতের আগে চাহিদা বৃদ্ধি এবং চালান দ্রুত হওয়ার কারণে জুন মাসে ইরানের তেল রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষক সংস্থা ভরটেক্সারের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২০ জুনের মধ্যে চীন প্রতিদিন ১৮ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। অন্যদিকে, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ জুন পর্যন্ত চীনের ইরানি তেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানির দৈনিক গড় ছিল ১৪ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল, যা গত মে মাসে ছিল ১০ লাখ ব্যারেল।

বিশ্লেষকরা জানান, চীনা ‘টিপট’ শোধনাগারগুলোতে মজুদ হ্রাস পাওয়ায় ইরানি তেলের আমদানি বৃদ্ধির আগ্রহ দেখা দিয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলে চীন আরও বেশি ইরানি তেল আমদানি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা দেশটির অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে মার্চ মাস থেকেই ইরানের তেল রফতানি বৃদ্ধির খবর সামনে আসছে।

জাহাজ ট্র্যাকিং কোম্পানি ভরটেক্সারের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে ইরান থেকে চীনে তেল আমদানি প্রতিদিন ১৮ লাখ ব্যারেল ছাড়িয়ে যায়, যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে চীনে ইরানের তেলের গড় রফতানি ছিল প্রতিদিন ১৭ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল, যা ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

এদিকে, ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার একদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন ইরানের উপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি ত্যাগ করেনি, যার মধ্যে ইরানি তেল বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তবে দেশটিকে পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *