নিউজ ডেষ্ক- অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যেদিনের অপেক্ষায় ছিলেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া কেন্দ্র করে প্রমত্তা পদ্মার দুই পারে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। এই মাহেন্দ্রক্ষণে যুক্ত হলেন ‘পদ্মাকন্যা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১২টায় পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গত তিন দিন ধরেই পদ্মাপার এলাকা সেজেছে বর্ণিল রূপে। নানা রঙ-বেরঙের ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পদ্মাপার। পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রমত্তা পদ্মায় লাল-সবুজের ৮০টি নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার নেতৃত্বে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। জাতীয় তিন নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘাতকের বুলেটে নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
পদ্মা সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সেতু নির্মাণের সময় আমাদের অনেক ষড়যন্ত্র পোহাতে হয়েছে। অনেক যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে। আমার ছেলে জয়, মেয়ে পুতুল, শেখ রেহানা, রেদোয়ান মুজিব, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।
শেখ হাসিনা এ সময় দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, যারা এই পদ্মা সেতুর জন্য জমি দান করেছেন, তাদের এ ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন কেন্দ্র করে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যেন দম ফেলার ফুরসত নেই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে শুধু তাই নয়, কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে মাওয়া এবং ওপারের শরীয়তপুর-মাদারীপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন জানান দিচ্ছে শনিবারের প্রস্তুতির।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে শুরু করে আশপাশের সংযোগ সড়ক কোথাও বাদ নেই যেখানে পড়েনি ব্যানার-ফেস্টুনের ছোঁয়া।
শুধু রাজনীতিবিদই নয়, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে নিজেদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।